সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেছেন, পুলিশ ও জনতা একসাথেআইনশৃংখলা রক্ষা করবে। আমরা শান্তি চাই, বিশৃংখলা চাই না। জনগণেরদ্বারপ্রান্তে সেবা এগিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সোমবার বিকেলেকলারোয়া থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যেতিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের এ কর্ণধর আরো বলেন, বিট পুলিশিং চালু ওসার্বিক সমন্বয় আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে। কলারোয়ার শান্তিশৃংখলাও রক্ষা হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশিং’র উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমাজের একটি অংশের প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশিং ফোরামের সদস্যদের সকলকে নিয়েনিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের সম্মানের আসন নিজেদেরই ধরে রাখতে হবে।জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দায়িত্ব পালন করে থানায় গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার নাহন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজের দরজা সকলের জন্য খোলা উল্লেখ করে ডিসিনাজমুল আহসান বলেন, আবেদন করলে ৭/৮দিনের মধ্যেই জমির পরচা দেয়ার মাধ্যমেভূমির ক্ষেত্রে জনগণের হয়রানি বন্ধ হয়েছে। কলারোয়া ফুটবল মাঠে আয়োজিত ওইঅনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুলকবির পিপিএম। চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, শান্তির অন্যতম উপজেলা হিসেবেকলারোয়াকে রূপান্তরিত করবো। বিভিন্ন কারণে পুলিশের বদনাম আছে তবে বর্তমানেতা উত্তরণ হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর গুরুত্ব, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ওকার্যপরিধি ব্যাখ্যা করে সুদীর্ঘ বক্তব্যে তিনি বলেন, ছোট অপরাধ ও আপোষ করাযায় এমন সমস্যা শালিস বৈঠকে রেজুলেশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।আদালতের বাইরে বিকল্পপন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তিকরণের উপর জোর দিতে হবে। ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের এ শীর্ষকর্মকর্তা আরো বলেন, যারা ঘন ঘন থানায় যান তারা ‘সম্মানিত থানার দালাল’। এইসম্মানিত দালালদের কোনভাবেই আর প্রচ্ছয় দেয়া হবে না। মাস কয়েক আগেসাতক্ষীরাকে ‘ঠান্ডা’ করা এই এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, ব্রিটিশদেরকাছ থেকে যে উত্তরাধিকারী পেয়েছি তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। আর সেই কারণেইকমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও বিতর্কিত, মাদক ব্যবসায়ী, আসামী, দাঙ্গাবাজ, খারাপ লোক, চিহ্নিত অপরাধী, সম্মানিতথানার দালালদের বাদ দিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে। ফোরামে থেকে ধান্দাবাজিকরা যাবে না, যদি কেউ ধান্দাবাজি করে তবে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়েগ্রেফতার করা হবে। ফোরামের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সদস্যহয়েছেন দেশ সেবার জন্য। নিজের বাড়িতে খেয়ে সমাজের কীটপতঙ্গ তাড়াবেন। যারকোন সুনির্দিষ্ট জীবিকা নেই সে সদস্য হতে পারবেন না।
কলারোয়া থানারওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেনউপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপকুমার তালুকদার, সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। কলারোয়া উপজেলার সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়নকমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যদের অংশ গ্রহণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতারমাঝে মাঝে গান, নাটিকায় ও কৌতুকে পুলিশিং ফোরামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।শেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিপুল সংখ্যক উপস্থিতিকে মুগ্ধ করে।অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, সুধিমহল সহঅন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেনমাও.আসাদুজ্জামান ফারুকী ও গীতা পাঠ করেন নিত্য গোপাল রায়। সমগ্রঅনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক অসিম চক্রবর্তী ও সাংস্কৃতিক কর্মীসাইফুজ্জামান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস